শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

সোহাগপুর বিধবাপল্লীর আরো ৬ বিধবা পেলেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

Reading Time: < 1 minute

শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর:
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর বিধবাপল্লীর আরো ৬ বিধবা মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। স্বীকৃতি প্রাপ্তরা হলেন, সোহাগপুরের ঝর্ণা দিও, সমিলা রাকসাম, মালতি রাকসাম, মোছাঃ হাজেরা, মোছাঃ লাকজান ও কেরেঙ্গা পাড়ার মোছাঃ ছাহেরা খাতুন।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৮৬ তম সভার সিদ্ধান্তে এ ৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হয়। ইতিমধ্যে তাদের নামে গ্যাজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই বিধবাপল্লীর ২০ জন নারী মুক্তিযোদ্ধার (বীরাঙ্গনা) স্বীকৃতি পেলেন। এর আগে ১৪ জন নারী মুক্তিযুদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া ২০ জনের মধ্যে ৭ জন ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরন করেছেন।
গত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ভিন্ন ভিন্ন গেজেটে এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী নরপিশাচরা ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সকালে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামে নৃশংস গণহত্যা চালায়। সেদিন তাদের দুইঘণ্টার তাÐবে ১৮৭ জন পুরুষকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। খুঁজে খুঁজে গ্রামের সকল পুরুষদেরকে হত্যা করা হয়। সেই থেকে গ্রামটি বিধবাপল্লী নামে পরিচিত লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের জঘন্যতম এবং নৃশংসতম ওই গণহত্যায় গ্রামের ৬২ জন মহিলা বিধবা হন এবং তাঁদের অনেককেই শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও ওই গ্রামের ৫৬ জন বিধবা বেঁচেছিলেন। বর্তমানে তাঁদের মধ্যে বেঁচে আছেন ২২ জন বিধবা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই ২৯ জন বিধবার প্রত্যেকের জন্য ১১ লাখ টাকা করে মোট ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যায়ে ২৯ টি পাকা বাড়ি করে দিয়েছেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সোহাগপুরে “বীর কন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করা হয়। শহীদদের স্মরণে গ্রামটিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে “শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজ”। বিধবাপল্লীর রাস্তাটিও পাকা করা হয়েছে। শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ “সৌরজায়া” স্থাপন করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সদস্যরা তাঁদের বেতনের টাকায় বিধবাদের কিনে দিয়েছেন জমি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com